নিজস্ব প্রতিবেদন ( বর্ধমান ) : এ এক অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজাল । শাসকের তৈরী নিয়ম ভাঙছে শাসক দল নিজেই , আটকা পড়ছে শুধু আম আদমি । শহীদ দিবস পালনের নামে নানা জায়গায় নির্দেশ অমান্য হল দিনভর । পাশাপাশি বিরোধীরাও গণতন্ত্র বাঁচানোর তাগিদে কোথাও কোথাও জমায়েত করলেন । কি অদ্ভুত নিয়ম বিধি'র বেড়াজাল রাজ্য জুড়ে করোনার অতিমারী সময়কালে । সব কিছু খোলা । বন্ধ শুধু স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় । বন্ধ অর্থনীতির মূল লাইফ লাইন লোকাল ট্রেন ! ওখানেই নাকি সব থেকে বেশী ছড়াতে পারে সংক্রমণ । ঠাসাঠাসি ভীড় বাসে তাতে অসুবিধা নেই , বাজারে বাজারে ভীড় সেখানেও সমস্যা নেই , রাজনৈতিক দলের জমায়েত অধিকাংশ ই মাস্ক ছাড়া উপস্থিতি তাতেও কোনো অসুবিধা নেই অথচ রাজ্যে লাগু রয়েছে আংশিক লকডাউনের বিধি নিয়ম । রাত্রি ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা যে সময় মানুষ কম ই বের হন রাস্তায় সেখানে পুলিশের ধমক , ধড়পাকড় চলছে । অথচ প্রকাশ্য দিবালোকে জমায়েত করে শয়ে শয়ে লোক রাজনৈতিক কর্মসূচী চলছে সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই ! শুধু তাই নয় যে ড্রপলেট থেকে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ সেই ড্রপলেট আটকানোর কোনো বালাই নেই , বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা মাইকে মাস্ক সরিয়েই বক্তৃতা দিলেন । হাততালিও পেলেন । কি অদ্ভুত সব নিয়ম বিধি ! কোনো বিপর্যয় মোকাবেলা আইন নেই , কোনো প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নেই অথচ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সমস্ত ধরনের ধর্মীয় , সামাজিক , রাজনৈতিক জমায়েত বন্ধ । ৫০ জনের সীমাবদ্ধতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যের নানা জায়গায় হল রাজনৈতিক জমায়েত । চিকিৎসকরা চিন্তিত করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে । বারবার মাস্ক ব্যবহার ,জমায়েত যাতে না হয় তার কথা বলছেন । সাধারণ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে , পেটের তাগিদে , জীবন জীবিকা রক্ষায় রাস্তায় বের হলে বিধি নিয়মের বেড়াজাল । অথচ যারা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী করছেন , ইচ্ছাকৃত জমায়েত করাচ্ছেন প্রকাশ্যে পুলিশের সামনেই তাদের জন্য কোনো আইন নেই । তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নেই । কি অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজাল ।