বিধির কোপে শুধু আমআদমি : বাঁধন ছাড়া রাজনৈতিক দল

22nd July 2021 10:07 am বর্ধমান
বিধির কোপে শুধু আমআদমি : বাঁধন ছাড়া রাজনৈতিক দল


নিজস্ব প্রতিবেদন ( বর্ধমান ) : এ এক অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজাল । শাসকের তৈরী নিয়ম ভাঙছে শাসক দল নিজেই , আটকা পড়ছে শুধু আম আদমি । শহীদ দিবস পালনের নামে নানা জায়গায় নির্দেশ অমান‍্য হল দিনভর । পাশাপাশি বিরোধীরাও গণতন্ত্র বাঁচানোর তাগিদে কোথাও কোথাও জমায়েত করলেন । কি অদ্ভুত নিয়ম বিধি'র বেড়াজাল রাজ‍্য জুড়ে করোনার অতিমারী সময়কালে । সব কিছু খোলা ‌ । বন্ধ শুধু স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ‍্যালয় । বন্ধ অর্থনীতির মূল লাইফ লাইন লোকাল ট্রেন ! ওখানেই নাকি সব থেকে বেশী ছড়াতে পারে সংক্রমণ । ঠাসাঠাসি ভীড় বাসে তাতে অসুবিধা নেই , বাজারে বাজারে ভীড় সেখানেও সমস‍্যা নেই , রাজনৈতিক দলের জমায়েত অধিকাংশ ই মাস্ক ছাড়া উপস্থিতি তাতেও কোনো অসুবিধা নেই অথচ রাজ‍্যে লাগু রয়েছে আংশিক লকডাউনের বিধি নিয়ম । রাত্রি ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা যে সময় মানুষ কম ই বের হন রাস্তায় সেখানে পুলিশের ধমক , ধড়পাকড় চলছে । অথচ প্রকাশ‍্য দিবালোকে জমায়েত করে শয়ে শয়ে লোক রাজনৈতিক কর্মসূচী চলছে সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই ! শুধু তাই নয় যে ড্রপলেট থেকে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ সেই ড্রপলেট আটকানোর কোনো বালাই নেই , বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা মাইকে মাস্ক সরিয়েই বক্তৃতা দিলেন । হাততালিও পেলেন । কি অদ্ভুত সব নিয়ম বিধি ! কোনো বিপর্যয় মোকাবেলা আইন নেই , কোনো প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নেই অথচ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সমস্ত ধরনের ধর্মীয় , সামাজিক , রাজনৈতিক জমায়েত বন্ধ । ৫০ জনের সীমাবদ্ধতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ‍্যের নানা জায়গায় হল রাজনৈতিক জমায়েত । চিকিৎসকরা চিন্তিত করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে । বারবার মাস্ক ব‍্যবহার ,জমায়েত যাতে না হয় তার কথা বলছেন । সাধারণ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে , পেটের তাগিদে , জীবন জীবিকা রক্ষায় রাস্তায় বের হলে বিধি নিয়মের বেড়াজাল । অথচ যারা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী করছেন , ইচ্ছাকৃত জমায়েত করাচ্ছেন প্রকাশ‍্যে পুলিশের সামনেই তাদের জন‍্য কোনো আইন নেই । তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন‍্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নেই । কি অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজাল ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।